এরকম সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে। পুরো লেখাটা মনযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি উপকারে আসবে ইনশাআল্লাহ।
ওষুধ খেয়ে সাধারণত অল্প কিছুটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
OCD বা Obsessive Compulsive Disorder এর লক্ষণ হিসেবে ভুলে যাওয়া এবং সেই ভুলে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন চিন্তাভাবনা আসা - এটা একটা সিম্পটম।
যেমন বললেন না যে, ওজুতে ভুলে যান। অনেকের ক্ষেত্রে শুধু ওজুতেই না, বরং নামাজের কোন রাকাআতে আছে, কয়টা সিজদাহ দিয়েছেন, ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
এটাকে আমি পুরোপুরিভাবে শর্ট টার্ম মেমোরি লস বলবো না। বরং, ইবাদতের ক্ষেত্রে যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়, তা মূলত শয়তানের প্রতারণা এবং শয়তানেরই ধোকা।
ওষুধ দিয়ে এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সাধারণত খুব জটিল। আল্লাহর রহমত ছাড়া মুক্তি পাওয়া সম্ভব না।
তবে কিছু উপায় বলছি যা অনেকক্ষেত্রেই কার্যকর।
যখনই সন্দেহমূলক চিন্তা আসে, যেমন ওজুতে এটা করা হয়েছে কি না, ওটা করা হয়েছে কি না তখন সেটা একবার করে দেখবেন। পুনরায় যদি মনে হয় সেটা করেছেন কি না তাহলে তখন উচিৎ হচ্ছে সেদিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ না করা। এটা অন্যতম একটা উপায়। মোটেও সে কথা ভাববেন না। অন্যদিকে মন দিবেন। মনে দৃঢ়তার সাথে বলবেন, হ্যাঁ করেছি। আল্লাহ সাক্ষী আছেন।
মনের সাথে সম্পৃক্ত এই রোগটা। মনকে শক্ত করে তুলতে হবে। ভাবতে হবে, নিশ্চয়ই এসব সন্দেহ শয়তানের থেকে। সুতরাং, শয়তানের কথায় কান দেওয়া যাবে না।
এই রোগটা নিয়ে আমি প্রায় ২ বছর ধরে অনেক রিসার্চ করেছি। এজন্য, কিছুটা হলেও জানি। আলহামদুলিল্লাহ।
এছাড়া, সালাতের মধ্যে আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে মুক্তির আশ্রয় চাইবেন। আবারও বলছি, ওষুধে খুবই অল্প উপকার হয় এই রোগে। এই রোগে ওষুধ যেটুকু কাজ করে তা হলো, ব্রেইনের কিছু পার্টকে কিছু সময়ের জন্য নিস্তেজ করে রাখে। ফলে, সাইড ইফেক্ট হিসেবে অনেকের ঘুমও আসতে পারে।
আল্লাহর রহমতে যদি নিজের মনকে অন্যকাজে ব্যস্ত রেখে এসব থেকে বিরত থাকতে পারেন, তাহলেই সুস্থ হওয়া সম্ভব, ইন শা আল্লাহ।
আর, যদি অতিরিক্ত মনে করেন, তবে একজন মনোবিজ্ঞানী মানে একজন মানসিক ডাক্তার দেখাতে পারেন।
---
এবার বলি আরেকটা কথা। সাধারণ জিনিস ভুলে যাওয়া যেমন এটার উত্তর কী হবে, ওটার দাম কত ছিলো, কী নিতে এসেছিলাম - এই ধরনের সমস্যাগুলো স্বাভাবিক। এতে তেমন সমস্যা নেই। মাঝে মাঝে এগুলো হলে তাতে চিন্তার কারণ নেই। তবে, যদি সবসময়ই এরকম মনে না থাকে তবে একজন নিউরোলজিস্ট দেখাতে পারেন। মিনি স্ট্রোকের কারণেও অনেক সময় হতে পারে এরকম।
বিশেষ করে বয়স্কদের এই সমস্যা বেশি থাকে।
এক্ষেত্রে, ব্রেইনে বেশি চাপ দেওয়া ঠিক না। বেশি রাত জাগা উচিৎ না। পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে।