আসলে আমরা যখন ইন্টারনেট ব্রাউজ করি বা কোন কিছু ডাউনলোড করি তখন আমাদের ব্রাউজারে যে তথ্যগুলো দেখি তা মূলত অন্য একটি কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা আছে। ঐ কম্পিটারটিকে সার্ভার বলে। সুতরাং আমরা যখন কোন সাইট ব্রাউজ করি তখন ঐ সাইটের সার্ভার থেকে আমাদের চাওয়া তথ্য দেখতে পাই। এসব তথ্য পাই একটি রাস্তায় বা মাধ্যমে যাকে ইন্টারনেট বলে। যখন ঐসব সার্ভার থেকে কোন কিছু দেখতে চাই তা নির্দিষ্টি লিংকে ব্রাউজ করলেই আমাদের কম্পিউটার বা মোবাইল ব্রাউজারে দেখতে পাই। এখন মনে করুন ২ মেগাবাইটের একটি ছিবি ডাউনলোড করবেন কোন একটি সাইট থেকে। ঐ ছবিটি ডাউনলোড দিলে ঐ ২ মেগাবাইট ডাটা খরচ হবে আপনার। আর এই ডাটা হয়তো আপনি কোন ইন্টারনেট সেবাদানকারী কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কিনেছিলেন।
আরো সহজভাবে বুঝনো যায়, আপনি যখন কোন ছবি বা ভিডিও আপনার মোবাইল ফোন থেকে অন্য মোবাইল ফোনে শেয়ার ইট এর মাধ্যমে ট্রন্সফার করেন তখন ঐ দুইটি মোবাইল ফোনে একটি নেওয়ার্ক তৈরি হয় যাকে প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বলে। এই প্রাইভেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোনো ডাটা যেমন ছবি বা ভিডও ট্রন্সফার করলেও ডাটা ( যাকে আপনি মেগাবাইট বলছেন) খরচ হয়। কিন্তু সেই ডাটা কেনার দরকার পড়েনা। কারণ ডাটা ট্রন্সফারের নেটওয়ার্কটা আপনার ব্যাক্তিগত বা প্রাইভেট। আর যখন ইন্টারনেট থেকে কোনো কিছু দেখতে চান তখন তা পাবলিক নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে হয়। আর ইন্টারনেট সংযোগ টাকা দিয়ে নিতে হয়।
ধরুন আপনি ইউটিউব থেকে একটি ভিডও দেখবেন। ভিডওটি রাখা আছে মনেকরুন ইউটিউবের সিংগাপুরে স্থাপন করা কম্পিউটারে (সার্ভারে) । আর তা দেখতে হলে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারটিকে ঐ সিংগাপুরে রাখা ইউটিউবের কম্পিউটারে সংযোগ দিতে হবে। সেই সংযোগ টা তৈরি করে দিবে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের সাথে ইন্টারনেট সংযোগ। ইন্টারনেট সংযোগটা পাচ্ছেন কোনো ক্যাবল ইন্টারনেট সার্ভিস দাতার কাছথেকে অথবা কোন মোবাইল অপারেটর যেমন গ্রামীনফোন এর কাছ থেকে। যখন ঐ সার্ভার থেকে ভিডও টি দেখবেন তখন ঐ ভিডওটির সাইজ যত মেগাবাইট আপনার তত মেগাবাইট ডাটাই খরচ হবে আপনার মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে আসতে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।