শুষ্ক ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরাতে আছে হিলিং ও হাইড্রেটিং প্রপার্টি যা শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই দরকারি। অ্যালোভেরার ভেতরের জেল বের করে সরাসরি ত্বকে লাগান। এটি আপনার ত্বকের গভীরে পৌঁছাবে। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা স্ক্রাবঃ অ্যালোভেরা হলো একটি ক্লিনজিং এজেন্ট যা ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে। এ ছাড়াও এতে আছে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা। স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে প্রথমে অ্যালোভেরার জেল বের করে নিতে হবে। এতে অল্প চিনি নিয়ে আলতোভাবে ত্বকে স্ক্রাব করতে হবে। এতে এক দিকে যেমন ত্বকের ময়লা দূর হবে, আরেক দিকে ব্রণের জীবাণুও দূর হবে।
ঝলমলে ত্বক পেতে অ্যালোভেরাঃ রাতে ঘুমানোর আগে মুখ, গলা ও ঘাড়ে অ্যালোভেরা জেলের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুছে ময়শ্চারাইজার লাগান। সপ্তাহে ২ দিন এই মাস্কটি ব্যবহার করুন। কিছু দিনের মধ্যেই দেখতে পাবেন ত্বকের ঝলমলে আভা।
দাগ দূর করতে অ্যালোভেরাঃ ব্রণ ও অন্য নানা ধরনের দাগ দূর করতে অ্যালোভেরা খুবই কার্যকর। দাগ দূর করার জন্য খরচসাপেক্ষ কোনো চিকিৎসার পেছনে টাকা ঢালার আগে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এতে আছে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটোরি, অ্যান্টিসেপ্টিক, এস্ট্রিঞ্জেন্ট প্রপার্টি ও খুব উচ্চপরিমাণে ময়েশ্চার কনটেন্ট যা একসাথে মিলে দাগ দূর করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও অ্যালোভেরা ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে ফলে দাগযুক্ত কোষ দূর হয়ে নতুন দাগহীন কোষ জন্মায়। এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ৬ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দাগের ওপর লাগান। নিয়মিত লাগালে দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে। গর্ভাবস্থায় সৃষ্টি হওয়া স্ট্রেচ মার্কস দূর করতে হলে প্রতিদিন তিনবার দাগের ওপর অ্যালোভেরা জেল লাগালে এই দাগও সময়ের সাথে মিলিয়ে যায়।
ভ্রুণ ও চোখের পাপড়ির যত্নে অ্যালোভেরাঃ ভ্রুণ দুটি সেট ও কন্ডিশনিং করতে অ্যালোভেরা খুবই কাজের জিনিস- যেমন সহজ তেমনি সস্তা। একটি চিকন ব্রাশে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন। তারপর দুটি ভ্রুণতে ব্রাশটি বুলিয়ে নিন। ভ্রুণ দুটি সারা দিন সেট হয়ে থাকবে এবং চিকচিক করবে। অ্যালোভেরা চুল ঘন হতে ও বাড়তে সাহায্য করে। তাই সমপরিমাণ অ্যালোভেরা জেল ও ভার্জিন অলিভ অয়েল মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে ভ্রুণ ও চোখের পাপড়িতে লাগিয়ে নিন। অচিরেই পাবেন ঘন পাপড়ি ও ভ্রুণ।