বর্তমান দিনে দাড়ি রাখা একটা ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ পুরুষের সমস্যা একটাই- দাড়িতে কম চুল বা চুল গজায় না। সেইসময় পুরুষরা বারবার শেভ করতে শুরু করে। এর ফলে আদৌ কি দাড়ি ঘন হয়? আসুন জেনে নিই
ঘন ঘন শেভ করার সাথে সত্যিকার অর্থে গোঁফ বা দাড়ি ঘন হওয়ার কোন সম্পর্কই নেই। পুরো ব্যাপারটাই একটা মিথ্যা বলা চলে যা কিনা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। কারো কারো দাড়ি না গজানোর কারনটা হরমোনাল ইমব্যালান্স এর কারনে হয়ে থাকে। এর পেছনে বংশগতিরও কিছুটা প্রভাব থাকে।
প্রতিদিন শেভ করলে যে সমস্যা হতে পারে –
প্রতিদিন শেভ করলে যে সমস্যা হতে পারে –
১। সিউডোফলিকুলাইটিস বারবি- এখানে প্রতিদিন শেভ করার কারণে চুলের বেড়ে উঠার দিক বদলে যায়। তাই চামড়ার ভেতরে ভেতরে চুলের কিছুটা অংশ থেকে যায়। ফলে আমাদের শরীর এটাকে দেহের বাইরের জিনিস হিসেবে চেনে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে নানা রকম প্রদাহ দেখা দেয়। যত বেশি প্রদাহ তত দ্রুত চেহারায় বয়সের ছাপ পরবে।
২। রেজর বার্ন- খুব চাপ দিয়ে অথবা খুব দ্রুত শেভ করলে অথবা প্রতিদিন শেভ করলে পুড়ে যাওয়ার মত লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন লাল হয়ে যাওয়া, ব্যথা, জ্বালা করা ইত্যাদি। কিছু শেভিং উপাদান থেকেও এগুলো হতে পারে।
৩। ঘন দাঁড়ি সম্পর্কিত সমস্যাদি – এখানে আগেই বলে নিচ্ছি এটা প্রমাণিত যে প্রতিদিন শেভ করলে দাঁড়ি ঘন হয় না। কিন্তু যাদের জেনেটিক ভাবে বেশি দাঁড়ি হয় তাদের প্রতিদিন শেভ করতে গেলে নানা সমস্যা পোহানো স্বাভাবিক। দাঁড়ি নরম করতে যে ক্রিম ব্যবহার করা হয় সেগুলো ত্বকের উপরের স্তরের চর্বি উপাদান গুলো সরিয়ে দেয়। তাই চামড়া শুকিয়ে যায়।
কিন্তু পরিশেষে এটা অস্বীকার করার কিছু নেই যে শেভ করা আমাদের অনেক চর্মরোগ থেকে দূরে রাখে। যেমন- একনি, ফলিকুলাইটিস ইত্যাদি।
তাই উচিত হবে প্রতিদিন শেভ না করে চামড়ার ধরন বুঝে উপযুক্ত রেজার দিয়ে কিছুদিন সময় পর পর শেভ করা যাতে করে এই সময়টাতে চামড়া প্রদাহ কাটিয়ে উঠতে পারে।